Desk Report -BBC(Crime News24.net) :
পণ্যের প্রচারণার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগ নানা রকম কৌশল ব্যবহার করে থাকে। তার মধ্যে কিছু কৌশল প্রতিষ্ঠানের সফলতা বয়ে আনে। আবার কিছু কৌশল একদম মাঠে মারা পড়ে। তবে ১৯৯২ সালে জনপ্রিয় পানীয় প্রতিষ্ঠান পেপসিকো তাদের পানীয় ফিলিপাইনে প্রচারের জন্য যে কৌশল ব্যবহার করেছিল, তাতে এমনই দাঙ্গা লেগে গিয়েছিল যে কমপক্ষে পাঁচজন ব্যক্তি তাদের প্রাণ হারাতে হয়। কী ছিল সে কৌশল? কেনই বা এতে লেগে গেল দাঙ্গা?
১৯৯২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পেপসিকো ফিলিপাইন (পিসিপিপিআই) নম্বর ফিভার নামের একটি লটারি প্রচারণা চালায়। এ প্রচারণায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের পানীয়গুলোর যেমন- পেপসি, সেভেন-আপ, মাউন্টেন ডিউ এবং মিরিন্ডার বোতলের ক্যাপের ভেতরের ০০১ থেকে ৯৯৯ পর্যন্ত সংখ্যার মুদ্রণ করবে। এর মধ্যে কিছু সংখ্যার বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি রাতে টিভিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। এসব পুরস্কারে ১০০ পোসো (যা ১৯৯২ সালে প্রায় ৪ ডলারের সমান) থেকে ১ মিলিয়ন পোসো (যা সে সময় প্রায় ৪০ হাজার ডলার) পর্যন্ত গ্র্যান্ড প্রাইজ রয়েছে। এ লটারির জন্য পেপসি প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে। বিপণন বিশেষজ্ঞ পেড্রো ভারগারার এ কৌশলটি পেপসির জন্য বেশ সাফল্যই বয়ে এনেছিল। কেননা এ ধরনের প্রচারনা লেটিন আমেরিকা জুড়ে বেশ ব্যবসায় সফল ছিল। সেই সঙ্গে এটি ফিলিপিনোদের মধ্যে এমনই সাড়া ফেলেছিল যে রাতারাতি পেপসির মার্কেট শেয়ার ৪ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে ওঠে যায়।
বিপণন বিশেষজ্ঞ পেড্রো ভারগারার এ কৌশলটি পেপসির জন্য বেশ সাফল্যই বয়ে এনেছিল। কেননা এ ধরনের প্রচারনা লেটিন আমেরিকা জুড়ে বেশ ব্যবসায় সফল ছিল। সেই সঙ্গে এটি ফিলিপিনোদের মধ্যে এমনই সাড়া ফেলেছিল যে রাতারাতি পেপসির মার্কেট শেয়ার ৪ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে ওঠে যায়। তবে ১৯৯২ সালের ২৫ মের রাতের পর তা একতম বিপরীত মোড় নেয়। সেদিন রাতে এবিএস-সিবিএন চ্যানেল টু গ্রান্ড প্রাইজের সংখ্যা ঘোষণা করে। যেটি ছিল ৩৪৯। সেসময় গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী বোতলের ক্যাপগুলো পেপসিকো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করত। সেই দিনের বিজয়ী নম্বর মুদ্রিত ক্যাপসহ সেটি নিশ্চিতকরণে একটি নিরাপত্তা কোডও দুইটি বোতলে বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেদিনে একটি কম্পিউটার ত্রুটির কারণে ৮ লাখ বোতলের ক্যাপে ৩৪৯ সংখ্যাটি মুদ্রিত হয়ে যায়। যেটায় কোনো নিরাপত্তা কোড ছিল না। তাত্ত্বিকভাবে, সেই বোতলের ক্যাপগুলোর মূল্য ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার।
|